সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা

সর্বজনীন পেনশন স্কিম কি, সুবিধাসমূহ এবং কিভাবে আবেদন করবেন?

সর্বজনীন পেনশন কি?

সর্বজনীন পেনশন হচ্ছে সর্বসাধরণ জনগণের জন্য পেনশন ব্যবস্থা। অর্থ্যাৎ দেশের সকল নাগরিক শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবী বাদে  সবার জন্য বাংলাদেশ সরকার যে পেনশন ব্যবস্থার আয়োজন করেছে এটাই সর্বজনীন পেনশন বা ইংরেজিতে Universal Pension .  সংক্ষেপে এটিকে Upension নাম দেওয়া হয়েছে।

 

সর্বজনীন পেনশন ওয়েবসাইট

সর্বজনীন পেনশন এর সুবিধা

দেশের ক্রমবর্ধমান বয়স্ক নাগরিকদের টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই পেনশন কাঠামো তৈরি করেছে। অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট বয়সে মানুষ যখন কর্মক্ষম হয়ে যায় তখন তাদের জানমালের নিরাপত্তার জ্ন্য এ ব্যবস্থা। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ এই সুবিধা ভোগ করবে।

 

আরও পড়ুন- কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই কিভাবে নিজের সিভি লিখবেন?

 

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার কাঠামো কি?

সর্বজনীন পেনশন কাঠামো হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন স্কিম বা প্যাকেজ অনুযায়ী টাকা জমা দিতে হবে। এখানে সর্বনিম্ন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বছর। এবং এই সময়সীমা ব্যক্তি বা নাগরিকের বয়স ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী ৬০ বছর। অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত এই পেনশন পাবে না। নাগরিকের বয়স ৬০ বছর থেকে ৭৫ বছর পর্যন্ত এই সুবিধা ভোগ করবেন। পেনশনের পরিমাণ জমাকৃত টাকার প্রায় ১২.৫ গুণ পর্যন্ত হবে।

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার স্কিম বা প্যাকেজসমূহঃ

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সর্বমোট চারটি স্কিম বা প্যাকেজ রয়েছে। যথাঃ

১। প্রবাস (শুধুমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য)
২। প্রগতি (বেসরকারি কর্মচারী/প্রতিষ্ঠানের জন্য)
৩। সুরক্ষা (স্বকর্ম ও অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মীদের জন্য)
৪। সমতা ( স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য)

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বা প্যাকেজ সমূহ

সর্বজনীন পেনশনে মাসিক চাঁদার পরিমাণ কেমন হবে?

ক) প্রবাস স্কিম বা প্যাকেজে তিনটি ভাগ রয়েছে। যেখানে চাঁদার পরিমাণ সর্বনিম্ন ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা , তারপর ৭৫০০/- (সাত হাজার পাঁচশত) টাকা এবং সর্বশেষ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা।

খ) প্রগতি স্কিম বা প্যাকেজে তিনটি ভাগ রয়েছে। যেখানে চাঁদার পরিমাণ সর্বনিম্ন ২০০০/- (দুই হাজার) টাকা , তারপর ৩০০/- (তিন হাজার) টাকা এবং সর্বশেষ ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা।

গ) সুরক্ষা স্কিম বা প্যাকেজে চারটি ভাগ রয়েছে। যেখানে চাঁদার পরিমাণ সর্বনিম্ন ১০০০/- (এক হাজার) টাকা থেকে শুরু , তারপর ২০০০/- (দুই হাজার) টাকা, তারপর ৩০০০/- (তিন হাজার) টাকা এবং সর্বশেষ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা।

ঘ) সমতা স্কিম বা প্যাকেজে একটি মাত্র ভাগ। যেখানে চাঁদার পরিমাণ ধরা হয়েছে মাত্র ১০০০-/ (এক হাজার) টাকা। যার মধ্যে চাঁদা দাতা দিবে ৫০০/- (পাঁচশত টাকা) আর সরকার দিবে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা। কারণ এটি শুধুমাত্র সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের জন্য।

 

 

সর্বজনীন পেনশন পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে?

 

  • জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নাগরিকের বয়স সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশী সকল নাগরিক সরকারি চাকরিজীবী বাদে।
  • তবে ৫০ বছর বা তর্ধো ব্যক্তিও এই স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তিকে টানা ১০ বছর চাঁদা দিয়ে যেতে হবে। এই শর্ত মানলে সেই ব্যক্তি আজীবন পেনশন এর আওতায় থাকবেন।
  • বিদেশে কর্মরত প্রত্যেক বাংলাদেশেী নাগরিক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যদি তার ভোটার আইডি কার্ড না থাকে তাহলে শুধুমাত্র পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে কোন প্রকার সমস্যা হবে না। আর পেনশনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে প্রবাসী ব্যক্তি যদি দেশে চলে আসে সেক্ষেত্রে দেশে থেকেও পেনশনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় হিসাব স্থগিত হয়ে যাবে।
  • চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ (দশ) বছর চাঁদা প্রদান করার আগে মারা গেলে জমাকৃত টাকা মুনাফাসহ তার নমিনি ফেরত পাবে।
  • পেনশন পাওয়াকালীন পেনশনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে অর্থাৎ ৭৫ বছর বয়স হওয়ার আগে যদি ঐ ব্যক্তি মারা যায় তাহলেও তার নমিনি পেনশন মাসিক হারে পাবেন।
  • পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে এবং পেনশনের টাকা সম্পূর্ণ আয়কর মুক্ত থাকবে।
  • প্রত্যেক পেনশনার এর জন্য একটি স্বতন্ত্র ও পৃথক পেনশন হিসাব অনলাইনে খোলা থাকবে।
  • পেনশন আইনে যে সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারিত হবে সেটা দিতে বাধ্য থাকিবে।
  • চাঁদা তিনটি ভাগে দিতে পারবেন। যথা- ১) মাসিক, ২) ত্রৈমাসিক ও ৩) বার্ষিক
  • এই পেনশন পেনশনারগণ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ভোগ করতে পারবেন।

কিভাবে সর্বজনীন পেনশনে আবেদন করবেন

সর্বজনীন পেনশনে আবেদনের জন্য নিচের স্টেপগুলো ফলো করুন। প্রথমে পেনশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তারপর ওয়েবপেজের উপরে ডান পাশের কর্ণারে পেনশনার রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ-০১ঃ সর্বজনীন পেনশন ওয়েবসাইটে প্রবেশ

সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন

রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করলে নিচের মত আরেকটি পেজে নিয়ে যাবে। এখান থেকে আমি সম্মত আছি বাটনে ক্লিক করুন। আর যদি প্যাকেজ বা স্কিম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্যাকেজ/স্কিমসমূহ বিস্তারিত ধারণা বাটনে ক্লিক করুন।

 

সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন-1

 

ধাপ-০২ঃ রেজিস্ট্রিশন ফরম পূরণ

আমি সম্মত আছি বাটনে ক্লিক করলে  নিচের মত আরেকটি পেজে নিয়ে যাবে। এখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সঠিকভাবে প্রদান করুন। তারপর জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নম্বরটি প্রদান করুন।  এরপর ইমেইল আইডি দিতে হবে তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। এটি শুধুমাত্র প্রবাসীদের জন্য বাধ্যতামূলক। অবশেষে ক্যাপচা কোডটি সঠিকভাবে পূরণ করে পরবর্তী পেজে ক্লিক করুন।

 

সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন ফরম ফিলাপ

 

 

ধাপ-০৩ঃ ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই

এরপর আবেদনকারী ব্যক্তির সকল তথ্য ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী পরবর্তী পেজে প্রদর্শন করবে। এখান থেকে ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে পরিবর্তন করতে পারবেন। আর না করতে চাইলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে প্রবেশ করুন।

 

সর্বজনীন পেনশন ব্যক্তির তথ্য

 

ধাপ-০৪ঃ স্কিম তথ্য

এই পেজে আপনার স্কিম বা প্যাকেজের তথ্য দিতে হবে অর্থাৎ প্রথমে যে স্কিম সিলেক্ট করছিলেন সে অনুযায়ী মাসিক চাঁদা সিলেক্ট করতে হবে।  তারপর চাঁদা পরিশোধের ধরণ সিলেক্ট করতে হবে। চাঁদা পরিশোধের ধরণ তিনটি। যথাঃ- ক) মাসিক, খ) ত্রৈমাসিক এবং গ) বার্ষিক । এর যেকোন একটি সিলেক্ট করলে সে অনুযায়ী চাঁদার পরিমাণ নিচে প্রদর্শীত হবে। তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে প্রবেশ করুন।

 

সর্বজনীন পেনশন স্কিম তথ্য

ধাপ-০৫ঃ ব্যাংক তথ্য

পরবর্তী পেজে আপনার ব্যাংক তথ্য দিতে হবে। এখানে প্রথমে ব্যাংক হিসাবের নাম, তারপর ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, হিসাবের ধরণ এবং ব্যাংকের রাউটিং নম্বর প্রবেশ করাতে হবে। রাউটিং নম্বর জানা না থাকলে রাউটিং নম্বর জানা নাই বাটনে ক্লিক করতে হবে। রাউটিং নম্বর জানা নেই বাটনে ক্লিক করলে একটা পপআপ মেসেজ শো করবে। এখানে ব্যাংকের নাম ও শাখা সিলেক্ট করে দিলে অটোমেটিক রাউটিং নম্বর চলে আসবে।  তারপর আবারও পরবতী পেজে ক্লিক করতে হবে।

 

সর্বজনীন পেনশন ব্যাংক তথ্য

ধাপ-০৬ঃ নমিনি তথ্য

এবার আপনাকে নমিনি তথ্য প্রবেশ করাতে হবে। এখানে নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নমিনি যুক্ত করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে ক্লিক করলে নিচের ছবির মত করে নমিনির তথ্য দেখাবে। তারপর নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সাথে সম্পর্ক এবং নমিনির প্রাপ্যতার হার উল্লেখ করতে হবে।

 

সর্বজনীন পেনশন নমিনী তথ্য

 

সর্বজনীন পেনশন নমিনী তথ্য-2

 

নমিনির প্রাপ্যতার হার কি?

নমিনির প্রাপ্যতার হার হচ্ছে নমিনি আপনার পেনশনের কত শতাংশ পাবে । আপনার নমিনি যদি একজন হয় তাহলে প্রাপ্যতার হার ১০০% হবে। আর যদি ২ বা ৩ জন হয় সেক্ষেত্রে ১০০ ভাগকে সমান ভাগ করে দিতে হবে। যাতে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ ভাগ হয়। অর্থাৎ আপনি চাইলে একাধিক নমিনি যুক্ত করতে পারবেন।

সর্বশেষ ধাপঃ 

এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে সম্পূর্ণ ফর্ম অপশন আসবে। এখান থেকে আমি সম্মত আছি এখানে টিক মার্ক চিহ্ন দিয়ে তারপর আবেদন সম্পন্ন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে প্রাথমিক আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে।

 

সর্বজনীন পেনশন সম্পূর্ণ ফর্ম

 

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় পেমেন্ট করবেন কিভাবে?

আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর অটোমেটিক পেমেন্ট অপশন চলে আসবে।  তারপর পেমেন্ট করুন বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন।

সর্বজনীন পেনশন পেমেন্ট

পেমেন্ট বা চাঁদা অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে দিতে হবে। এজন্য পেমেন্টে গেটওয়েতে তিনটি অপশন রয়েছে। যথাঃ

ক) সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবা

খ) কার্ড (ডেবিট বা ক্রেডিট)

গ) মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ইত্যাদি।)

 

পেমেন্টে সম্পন্ন হলে পেমেন্ট যাচাই অপশন আসবে এখান থেকে পেমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করতে পারবেন।

সর্বজনীন পেনশন ইউজার তৈরিঃ 

ইউজার তৈরি করতে ইউজার তৈরি করুন বাটনে ক্লিক করুন। তার পরের পেজে অটোমেটিক ইউজার আইডি তৈরি হয়ে আসবে। সেখানে নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আইডি তৈরি সম্পন্ন করতে হবে।

ইউজার পাসওয়ার্ড

লগইন করুনঃ ইউজার তৈরি হয়ে গেলে আইডি, পাসওয়ার্ড ও ক্যাপচা কোড দিয়ে লগইন করতে হবে। ক্যাপচা কোড বুঝতে সমস্যা হলে নতুন ক্যাপচা বাটনে চাপ দিলে ক্যাপচা পরিবর্তন হয়ে নতুন করে আসবে।  তারপর পেনশনার হিসেবে লগইন করতে পারবেন।

সর্বজর্নীন পেনশন ড্যাশবোর্ডঃ

পেনশনার হিসেবে লগইন করলে নিচের ছবির মতো ড্যাশবোর্ড দেখাবে। এখানে আপনি আপনার বিস্তারিত সকল তথ্য দেখতে পাবেন। চাইলে প্যাকেজ পরিবর্তন, নমিনি পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়াও এখান থেকে আপনি কোন স্কিমে আছেন। আপনার চাঁদার পরিমাণ, চাঁদা পরিশোধের ধরণ, ইস্যু তারিখ, মেয়াদ পূর্তির তারিখ, পরবর্তী পরিশোধের তারিখ এবং সর্বমোট বকেয়াসহ সকল তথ্য দেখতে পারবেন।

 

 

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বা প্যাকেজ নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তরঃ

প্রশ্নঃ সর্বজনীন পেনশন স্কিমে কারা আবেদন করতে পারবেন?
উত্তরঃ দেশের সকল নাগরিক যাদের বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর। প্রাথমিকভাবে সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া সকল স্তরের নাগরিক।
প্রশ্নঃ সর্বজনীন পেনশন স্কিমে কিভাবে আবেদন করতে হবে?
উত্তরঃ সর্বজনীন পেনশন ওয়েবসাইট www.upension.gov.bd এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করে অথবা সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ সর্বজনীন পেনশনের চাঁদা কিভাবে পরিশোধ করতে হবে?
উত্তরঃ চাঁদা অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অথবা সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় গিয়ে পরিশোধ করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ সর্বজনীন পেনশনে আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগবে?
উত্তরঃ পেনশনে আবেদন করতে আবেদনকারীর এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক হিসাব তথ্য এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর লাগবে। তবে যারা প্রবাসী বাংলাদেশী তারা শুধুমাত্র পাসপোর্ট দিয়েও আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ পেনশনার কখন থেকে পেনশনের টাকা পাবেন?
উত্তরঃ পেনশনারের বয়স ৬০ বছর হওয়ার পর থেকে টাকা পাওয়া শুরু করবে।
প্রশ্নঃ পেনশন স্কিমে জমাকৃত টাকার জামিনদাতা কে হবে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ সরকার এই পেনশন স্কিমের একমাত্র জামিনদাতা হবেন। কারণ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান।
প্রশ্নঃ জমাকৃত টাকার হিসাব কিভাবে দেখা যাবে?
উত্তরঃ পেনশনার তার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সর্বজনীন পেনশন ওয়েবসাইট – Upension এ গিয়ে খুব সহজেই এই সকল তথ্য দেখতে পারবেন।

 

 

 

প্রতিদিনের চাকরির খবর গুলো ফেসবুকে পেতে জয়েন করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপে জয়েন করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

 

 

T.M. Hadiuzzaman

Web Developer & Future IT Specialist (Dream)

2 thoughts on “সর্বজনীন পেনশন স্কিম কি, সুবিধাসমূহ এবং কিভাবে আবেদন করবেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *